টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

একজন পুরুষের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন হল টেস্টোস্টেরন। এই হরমোনের ঘাটতি হলে পুরুষের শরীরের নানান রকম সমস্যা হতে পারে। বয়স ৩০ পেরোনোর পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি রাশের পাশাপাশি কাম বাসনা কমে যাওয়া, খারাপ মেজাজ সহ মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। সাধারণত বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলে এবং খাবারে ভিটামিন ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ডোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে।


পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরী। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য এবং বিশেষ কিছু নিয়মকানুন। প্রিয় সুধী কয়েকটি বিষয় মাথায় লাগলে এই হরমোনের মাত্রা তিন থেকে পাঁচ গুণ বাড়ানো সম্ভব। বন্ধুরা এই লেখায় আজ আমরা টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর গোপন কিছু টিপস জেনে নেব।সেই সাথে আরো জানাবো এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যা খেলে এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বহুগুণ বেড়ে যায়। আমন্ত্রণ রইল লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ার।


টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়,টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার,টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ,টেস্টোস্টেরন হরমোন,টেস্টোস্টেরন,টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম,টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর উপায়,টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়,টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়,টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ,পুরুষের হরমোন বৃদ্ধির উপায়,সেক্স হরমোন বৃদ্ধির উপায় কি,টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার উপায়,টেস্টোস্টেরন হরমোন কি,টেস্টোস্টেরন হরমোন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়



পর্যাপ্ত ঘুম : 


ঘুমের  অভাবে দেহের হরমোন ও অন্যান্য উপাদানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। ফলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। ঘুমের সঙ্গে টেস্টোস্টেরনের মাত্রার সঠিক সম্পর্ক দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমে দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা সর্বাধিক থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়।



সঠিক ওজন :


দেহের ওজন সঠিক মাত্রায় রাখা না গেলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এক্ষেত্রে বডি মাস ইনডেক্স অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন কম বা বেশি হলে এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।



 মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ : 


মানসিক চাপ দিন দিন মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠছে। আপনি যদি ক্রমাগত মানসিক চাপে থাকেন তাহলে এটি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেবে। 


 মদ্যপান করা যাবে না :


মদ্যপানের ফলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। গবেষণায় দেখা যায় তিন সপ্তাহ মদ্যপানের দেহ থেকে ৭% টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়।


আসুন এবার জেনে নেই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়িয়ে দিয়ে সেক্স পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ।


টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা


মধু : 


মধুতে আছে প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বরণ। এই খনিজ উপাদান টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে এবং নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখে। যা ধমনী সম্প্রসারণ করে লিঙ্গ স্থানে শক্তি সঞ্চার করে।



 জয়ফল :


গবেষকদের মতে যাই ফল থেকে  এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এর যৌগটি স্নায়ু কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ফলে যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয় ফল খেতে পারেন। তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।



বাদাম :


চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। এগুলো শরীরে প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল তৈরি করার পাশাপাশি সেক্স হরমোন গুলো কে সঠিকভাবে পথ নির্দেশ দেয়।পথনির্দেশ করে তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে যৌনস্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। চীনা বাদামে প্রচুর জিংক থাকে। এই শুক্রাণু সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে।



কিসমিস :


মানব শরীরে যৌন উদ্দীপনা বা যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে কিসমিসের সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয়না।‌‌  অঙ্গুর ফলকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কিসমিসের রূপান্তর করা হয়। কিন্তু  গুনের  দিক থেকে আঙ্গুরের চাইতে কিসমিস এর অবদান অনেক বেশি।



দুধ :


যেসব খাবারে বেশি পরিমাণে প্রানিজ ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌন জীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন; খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান। তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার।


আরও পড়ুন - মধু এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা



বীজ জাতীয় খাবার :


কুমড়োর বীজ,সূর্যমুখীর, বীজ শিম বীজ ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সিমের বিচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেনের থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। তাছাড়া কুমড়ার বিচিতে জিংক এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এই জিংক টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর কুমড়োর বিচির কার্যকারিতা অনেক।



কলিজা :


কলিজার প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে। আর এই জিংক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণে জিংক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে।



ডিম:


ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B5 ও B6  আছে। যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীরের শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।



রঙিন ফল :


রঙিন ফলমূল যেমন; আঙ্গুর, কমলা, লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যান্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফটেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়।


সর্বোপরি চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থেকে নিজের মনকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করুন। মনে আনন্দ থাকলে নার্ভ গুলো অনেক সচল থাকে। যার সুপ্রভাব পড়ে আপনার যৌন জীবনে।





  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন
  • টেস্টোস্টেরন
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম
  • টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর উপায়
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ
  • পুরুষের হরমোন বৃদ্ধির উপায়
  • সেক্স হরমোন বৃদ্ধির উপায় কি
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার উপায়
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন কি
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন