হাঁটু, পিঠ, কোমরের ব্যথা চিরতরে দূর করার উপায়

এই গরমে বিশেষত যাদের হাটু, পিঠ, কোমর অর্থাৎ দেহের জয়েন্ট গুলোতে প্রচন্ড ব্যথা। সেইসঙ্গে হাঁটাচলা ঠিকমতো করতে না পারার সমস্যা তৈরি হয়েছে।  তারা আজকের লেখাটি পুরোপুরি ফলো করুন। যদি আজকের লেখাটি ফলো করেন তাহলে এই ব্যথাগুলো দূর করার জন্য কোন ধরনের গরম গরম খাবার আপনাদের খাবার প্রয়োজন পড়বে না। কারণ গরমকালে ব্যথা দূর করার জন্য যেকোনো গরম খাবার খেলে অর্থাৎ উষ্ণ দ্রব্য সেবন করলে পেট গরম হয়ে এবং শরীরের ভেতরে কখনো কখনো ইনফ্লামেশন ও জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়। এই কারনেই এই ধরনের জয়েন্ট পেইন দূর করার জন্য আজকের দেখানো নুষ্কাটি আপনারা ফলো করতে পারেন। কিভাবে নস্কাটি তৈরি করবেন আর কতদিন এটা কন্টিনিউ ফলো করবেন সেটা লেখাতে জেনে নিন।

 

এজন্য প্রথমেই নেব গুড়। গুড় নেব প্রায় ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পরিমাণ। গুড় অবশ্যই আখের গুড় হতে হবে। অনেকের ঘরেই আখের গুড় থাকে। তবে সেটা নতুন গুড়। কিন্তু আপনাকে এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে বহু দিনের পুরাতন গুড়। যদি আপনার কাছে পুরাতন  গুড় না থাকে তাহলে নতুন গুড় কিভাবে একদিনের মধ্যেই পুরাতন গুড় তৈরি করবেন। অর্থাৎ পুরাতন গুড়ের সমস্ত গুণাবলী নতুন গুড়ে চলে আসবে। এটা আপনাদের বলে দিচ্ছি। এর জন্য আপনি যে পরিমাণ গুড় লাগবে সেটাকে সারাদিন রোদের মধ্যে রেখে দিন। এভাবে সারা দিন রৌদ্রের রাখার পরে আপনি যদি গুড়টা ব্যবহার করেন তাহলে তা পুরাতন গুড়ের মতোই কাজ করবে। গুড়টা এই ভাবে আপনাকে ছোট ছোট করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। আমি একটি গ্রেটারের সাহায্যে এটা গ্রেট করে নিচ্ছি। 


কোমর ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়,হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা,হাঁটুর ব্যথা দূর করার উপায়,হাঁটু ও কোমরের ব্যথা দূর,কোমর ব্যথা দূর করার উপায়,বাতের ব্যথা দূর করার উপায়,কোমরের ব্যথা দূর,হাঁটু ব্যথায় ঘরোয়া প্রতিকার,হাঁটুর ব্যথা কমানোর উপায়,শরীরের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়,ব্যথা দূর করার সহজ উপায়,হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়,পায়ে ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়,কোমরের যন্ত্রণা দূর করার উপায়,এক রাতে শরীরের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
হাঁটু, পিঠ, কোমরের ব্যথা দূর করার উপায়


আপনি যদি অন্য ভাবেও এটাকে ভেঙে ছোট ছোট করতে পারেন সেভাবে ও নিতে পারেন। আসলে এই ধরনের ব্যথায় যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য আজ আমি এই রেমিডিটিতে এমন সহজ অর্থাৎ সহজলভ্য কিছু জিনিস ব্যবহার করছি যা আমাদের ঘরেই থাকে সবসময়। তাই এটা খুব দামী নয় একদিন তৈরি করে রাখলেই সাতদিন ব্যবহার করতে পারবেন। খুব সহজে নিজের শরীরের এই ব্যথাগুলো দূর করার জন্য এই রেমিডিটি আশা করি আপনাদের খুবই কাজে লাগবে। দেখুন গুড়টা খুব ভালো করে গ্রেট করা হয়ে গেছে এবারে এরমধ্যে আমি পরবর্তী উপাদান মিশিয়ে দিচ্ছি। এরপরে আমি নেব হলুদ গুঁড়া।  যে হলুদ দিয়ে আপনি তরকারি রান্না করে খান সেই হলুদ গুড়া।হলুদ নিচ্ছি এক চামচ ভরে ভরে এবং গুড় নিয়েছি আমি এখানে চার চামচ। অর্থাৎ চার ভাগের এক ভাগ নিতে হবে হলুদ গুঁড়া। হলুদ গুঁড়াটা খুব ভালো করে মিশিয়ে দিন আর এর মধ্যে আমি দিয়চ্ছি আরেকটি উপাদান সে উপাদানটি খুবই সস্তা। 


আপনি ৫ টাকা খরচ করলেই এই উপাদানটি পেয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে চুন। ঝিনুক চুন ব্যবহার করছি।  যে আশেপাশের আপনার পানের দোকান রয়েছে রাস্তার ধারে সেরকম একটি পানের দোকান থেকেও আপনি ৫ টাকা দিয়ে আপনি এরকম একটি চুনের পট কিনে নিতে পারেন। এই পট দিয়ে অনেক দিন চলে যাবে। এতটা আপনার প্রয়োজন পড়বে না। এইরকম চুন থেকে আমি এক চামচ পরিমাণ চুন নিয়েচ্ছি। চুন আসলে অনেক রকম পাওয়া যায়। আপনারা খেয়াল করবেন যে চুনগুলো আমরা খাই শুধুমাত্র সেই চুনই ব্যবহার করব। কারণ এটা হচ্ছে শুদ্ধ চুন।শুদ্ধ চুন আপনার ত্বকে লাগালে জ্বালাপোড়া বা ইনফরমেশন তৈরি করবে না, ত্বকে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। এই কারনেই  শুদ্ধ চুনটা ব্যবহার করবেন। এরপরে আপনাদের আরেকটি জিনিস দিতে হবে সেটা হচ্ছে পানি। একদম নরমাল টেম্পারেচারের পানি মিশিয়ে দিন। তবে একটা কথা বলি পানি একেবারে অনেকটা মেশাবেন না। এক চামচ করে অল্প অল্প করে মিশিয়ে ভালো করে একটি মিস্কচার তৈরি করুন। 


এমন মিস্কচার তৈরি করতে হবে যেটা খুব বেশি পাতলা না হয়, প্রচন্ড ঘন না হয়। যে মিক্সচারটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন হাতের সঙ্গে যখন আপনি এই মিক্সচারটা নেবেন তখন যেন হাতের সঙ্গে লেগে থাকে। এমন ভাবে এই মিক্সচারটা তৈরি করুন। তখন একবারে বেশি পারে না দিয়ে অল্প অল্প করে দিয়ে তৈরি করে নিন। স্থানে ব্যথা সেই স্থানে খুব সুন্দর করে লেপ বা প্রলেপ দিয়ে দিন। এটা ১ থেকে ২ মিনিট ধরে খুব হালকা  হাতে ঘষে ঘষে এইভাবে আপনাকে প্রলেপটা দিতে হবে। এটা খেয়াল রাখবেন যে এটা ১ থেকে ২ মিনিট করে হালকা ঘষে দিয়ে দেবেন এবং যাদের ব্যথা প্রচণ্ড বেশি, ব্যথার জন্য ভেতরটা টনটন করে, এমনকি ব্যাথায় হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয় তারা কি করবে এই প্রলেপটা দেওয়ার আগে একটু গরম সরিষার তেল মালিশ করে নেবেন। 


এছাড়াও যদি অন্য কোনো মালিশের তেল আপনার কাছে থাকে সেটাও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।  এভাবে তেলটি ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পরে আপনি এইভাবে এই মিক্সারটি লাগিয়ে নিন। তারপর কি করবে এই মিক্সারটি সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি এটা সারা রাত রেখে দিতে পারেন।সেক্ষেত্রে আপনার বিছানা কাপড় নোংরা হয়ে যাবে এবং এর জন্যই আপনি মিক্সারটি দেওয়ার পরে অন্তত ১৫ মিনিট খোলা রাখুন। একেবারে খোলা রাখুন আর তারপরে একটি কাপড় হালকা করে এর ওপরে চেপে দিন এবং তারপর খুব সামান্য করে এতে এমন ভাবে বেঁধে দিন যাতে অন্য কোনো কাপড় আপনার জামা বা যেকোন বিছানা বা বালিশে এই হলুদ বা মিক্সারের দাগটি লেগে না যায়।  অন্য একটি কাপড় দিয়ে প্রলেপ দিয়ে তার ওপরে আপনি অন্য জামা কাপড় পড়ে নিন। খুব সহজেই এটা আপনি দূর করতে পারবেন আর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এটা কি করবেন, আপনি হালকা গরম পানির করে এটা ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন মাত্র একবারই ব্যবহার করবেন। যারা রাতে ব্যবহার করতে পারবেন না দিনের বেলাতেই করুন এবং কমসে কম আপনি এটা তিন থেকে চার ঘণ্টা রেখে দিন। 


এটা রাখলে পরে আপনার সাত দিনের মধ্যে তীব্র ব্যথা দূর হয়ে যাবে। তবুও খেয়াল রাখা দরকার সবার রোগের ধরন একরকম নয়। কারও কারও রোগ বহু পুরাতন আর সেই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য রোগ আছে যেমন পেটে গ্যাস হয় ,পেট পরিষ্কার হয় না, তারা এই রেমিডিটি এই নুস্কাটির পাশাপাশি অবশ্যই নিজে পেট সাফ রাখবেন। পেট সাফ  না রাখলে পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বাড়তে থাকে আপনার ব্যথা কিন্তু ভেতর থেকে দূর হবে না।  উপরে উপরে দূর হবে কিন্তু আবার ফিরে আসবে। কাজেই শরীরকে সুস্থ করতে চাইলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে আপনাকে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং ঘুমান। সঠিক পরিশ্রম করুন এবং সঠিকভাবে বিশ্রাম নিন। খাবারের মাঝে কখনো পানি পান করবেন না। আসলে যে কথাগুলো আজ আপনাদের বলছি এ প্রতিটি কথাই একজন মানুষের দেহের যে কোনো ধরনের ব্যথা দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র রেমিডি নুস্কাটি দেখতে চান। কিন্তু প্রয়োজনীয় কথাগুলো শুনতে চান না । তাদের কাছে এই কথাগুলো কেবল বাড়তি বকবক মনে হয় কিন্তু আপনি সুস্থ থাকতে চাইলে আপনার জীবনধারায় প্রথমে বদলাতে হবে। শুধুমাত্র ঔষধ আপনাকে কখনোই পুরোপুরি সুস্থ করতে পারবে না। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন