ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন

ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি

আজকের লেখাটিতে থেকে আপনারা ইসলামী ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।


ইসলামী ব্যাংকের একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন লোন নেওয়ার ব্যাপারে যে সমস্ত ব্যাংক গুলো থেকে আপনি যতটা সহজ ভাবে নিতে পারেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে ততটা সহজ ভাবে নিতে পারবেন না। মূলত লোন নেওয়ার ব্যাপারটা সহজ না কঠিন হবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার প্রতি মাসের ইনকামের উপর। আপনি যত বেশি ইনকাম করবেন তত বেশি লোন নিতে সচেষ্ট হবেন। এখন আমরা এক নজরে দেখে নিব ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়া কি  সম্ভব? ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি কি ?বিভিন্ন খাতে ইনভেস্টমেন্টের পরিমাণ, ইন্স্যুরেন্সের জন্য ইনভেস্টমেন্ট এবং ছোট আকারে ব্যবসার জন্য ইনভেস্টমেন্ট।


ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি,ইসলামী ব্যাংক লোন,ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি বিস্তারিত,ব্যাংক লোন,ইসলামী ব্যাংক,ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি,ইসলামী ব্যাংক এফডিআর,ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস,ইসলামী ব্যাংক হোম লোন,ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন,ইসলামী ব্যাংক হাউজ লোন,ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম,ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স,ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন,সহজে ব্যাংক লোন,ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যাবে কি,ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া কি জায়েজ,সুদমুক্ত ইসলামি ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়া কি সম্ভব

ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে সরাসরি গিয়ে লোন নেওয়ার ব্যাপারে তাদের সাথে শেয়ার করলে তারা হয়তো আপনাকে লোন নাও দিতে পারে। অর্থাৎ ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাদেরকে লোন নাও দিতে পারে  ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে শব্দটিকে তারা বদলে ফেলে ইনভেসমেন্ট শব্দে রূপান্তর করেছে অর্থাৎ তারা আপনাকে কিছু টাকা দিবে সেই টাকার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করাতে পারবেন। অর্থাৎ লোন ব্যাপারটি আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের সাথে সম্পাদন করতে চান তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংকের যেকোন একটি সাহায্যে এগিয়ে যখন ইনভেস্টমেন্ট নেওয়ার কথা বলবেন তখন তারা আপনাকে বাক্স মতে লোন দেবে।

 

ইসলামী ব্যাংক লোন নেয়ার পদ্ধতি কি

আপনি যদি সমস্ত দিক বিবেচনা করার পরে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে আপনার ইসলামী ব্যাংক থেকে ইনভেস্ট নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। তাহলে আপনি নিম্নলিখিত স্টেপ ফলো করতে পারেন।


ইনভেস্টমেন্ট নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ কোন ব্রাঞ্চে গিয়ে উপস্থিত হন


তারপর আপনি যে খাতের জন্য লোন বা ইনভেস্টমেন্ট নিতে চান সেই সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করুন।


যখন আপনি ব্রাঞ্চে গিয়ে উপস্থিত হবেন তখন আপনার স্যালারি স্টেটমেন্ট এবং অন্যান্য আয়ের এর উৎস এর ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যাবেন।


মূলত যদি গ্রাম থেকে শহরে এসে আপনি কোন বাড়ি করতে চান। তাহলে আপনাকে আপনার ইনকাম এর সমস্ত ডকুমেন্ট তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।


আপনার মাসিক ইনকাম যদি ৫০ হাজারের বেশি হয়। তাহলে আপনি দশ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারবেন। এছাড়াও ইনকামের পরিমাণ যত বেশি বাড়বে লোনের পরিমাণ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।


ঠিক একই ভাবে  ৫০ হাজার টাকার নিচে ইনকামের জন্য আপনি ১০ লাখ টাকার কম ইনভেস্টমেন্ট আদায় করতে পারবেন।


ইনভেসমেন্ট গ্রহণ করার পরে তাদের দিয়ে ইন্টারেস্ট এর পরিমাণ রয়েছে আর তা হলো পরিমাণ হল .৬০শতাংশ।

বিভিন্ন খাতে ইনভেস্টমেন্ট এর পরিমাণ

বাড়ি তৈরি করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট

আপনি যদি একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট নিতে চান।  তাহলে ১৬.০০% রিটার্ন রেট আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ আপনাদের সুদঁ   দাঁড়াবে ১৬% এবং ইনভেস্টমেন্ট আপনি তিন বছরের জন্য নিতেপারবেন। এছাড়া আপনি যে ইনভেস্টমেন্ট নিবেন সেই ইনভেস্টমেন্টের টাকার পরিমাণ আপনার অবস্থানরত এলাকা ভেদে ভিন্ন হতে পারে। যেমন: মহানগর শহর এলাকায় আপনি কোটি ৫৪ লাখ টাকার উপর নিতে পারবেন ,জেলা পৌরসভা আপনি১ কোটি ৫৯  লক্ষ টাকার উপরে নিতে পারবেন ।অন্যান্য অঞ্চলে আপনারা লক্ষ টাকার মত পেয়ে যাবেন


কার  ইন্সুরেন্সের জন্য ইনভেস্টমেন্ট

অর্থাৎ আপনি যদি গাড়ি ইন্সুরেন্সের জন্য ইনভেস্টমেন্ট নিতে চান ।তাহলে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এই টাকাগুলো পরিশোধযোগ্য। মূলত রিকন্ডিশন গাড়ির জন্য চার বছর এবং ব্যান্ড নিউ গাড়ির জন্য পাঁচ বছরে একটি ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারেন। রিকন্ডিশন গাড়ির জন্য আপনি মিলিয়ন টাকা অর্থাৎ বিশ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন এবং ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির জন্য আপনারা তিন মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন। এই ইনভেস্ট যে ব্যাক্তি নিতে পারবেন সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে অর্থাৎ তার ২১ বছর  এডাল্ট হতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত হতে হবে। অর্থাৎ ২১ থেকে ৬৫ বছর তার বয়স থাকতে হবে। তাহলে এই ব্যক্তি ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারবে।


আরও পড়ুন - সকল ব্যাংক ডিপিএস তথ্য


ছোট আকারে ব্যবসার জন্য ইনভেস্টমেন্ট

আপনি যদি একটি ব্যবসা তৈরি করতে চান এবং এই ব্যবসার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ইনভেস্টমেন্ট নিতে চান। তাহলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার জন্য বিভিন্ন রকমের ইনভেস্টমেন্ট প্রযোজ্য হবে। যেমন আপনি যদি শহর  অর্থাৎ সমস্ত নগর ,শহর শহরের যদি আপনার হয়। তাহলে আপনি .৫০   মিলিয়ন বা পাঁচ লাখ টাকা নিতে পারবেন। আপনি যদি জেলা এবং পৌরসভা হলে তিন লাখ টাকা নিতে পারবেন অন্যান্য অঞ্চলের আপনারা দুই লাখ টাকা ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারবেন।

 

উপরের উল্লেখিত ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণ করার পরে আপনার জন্য ১২% রিটার্ন চার্জ প্রযোজ্য  হবে অর্থাৎ আপনারা উপরে এই ইনভেস্টমেন্ট গুলো নিলে কিন্তু আপনাদের এই  রিটার্ন রেট  হবে  অর্থাৎ ইন্টারেস্ট  হবে ১২% পার্সেন্ট। তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে দিতে হবে , ব্যাংকে  দিতে হবে।  এবং ব্যাংক থেকে নেওয়া ইনভেস্টমেন্ট এক বছর এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এবং এই টাকাটা আপনারা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন