এমপক্স কি
এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) |
এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স হল ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ । এটি পক্সভাইরাস পরিবারভুক্ত, যেমন চিকেনপক্স বা স্মলপক্স। গত ১৪ই আগস্ট- ২০২৪ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্সকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রথম এই রোগটি প্রথম আফ্রিকার দেশগুলোতে শনাক্ত করা হয় কিন্তু বর্তমানে এই রোগটি ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পরছে । ১৯৫৮ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়া এই ভাইরাসটি এর আগে বহুবার মানুষের দেহে আক্রমণ করেছে ।
এমপক্স এর লক্ষণসমূহ
মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায় । সাধারণত এটি শিশুদের, গর্ভবতী মহিলাদের, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং যাদের একজিমা জাতীয় স্কিনের রোগ আছে তাদের বেশি আক্রান্ত করে । আফ্রিকার ৭০% শিশু এই রোগে আক্রান্ত এবং এদের মধ্যে ৮৫% শিশুকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে ।
- জ্বর,সর্দি-কাশি, মাথা ব্যাথার মাধ্যমে এই লক্ষণগুলো শুরু হয়। এর ১ থেকে ৪ দিনের ভেতরে শরীরে র্যাশ দেখা দেয়। প্রথমে মুখে ব্রণ বা ফসকা জাতীয় র্যাশ হয় এবং সেটা ধীরে ধীরে হাতে,পায়ে সহ শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
- লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ।
- শরীরের পেশি গুলোতে ব্যাথা হওয়া ।
- ক্লান্ত অনুভব করা ইত্যাদি ।
এমপক্স এর লক্ষণসমূহ |
এমপক্স কিভাবে ছড়ায়
- সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে আসা ।
- সংক্রামিত পশু বা তাদের শরীর থেকে নির্গত কিছুর সংস্পর্শে আসা ।
- আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্পর্শ করা বা ব্যবহার করা।
এমপক্স প্রতিরোধে করণীয়
যদিও এই নতুন রোগটির কোন ভ্যাক্সিন আবিস্কার হয়নি কিন্তু গবেষকরা বলছেন যে, সাধারন বসন্তের বা গুটি বসন্তের সাথে এই এম পক্সের গঠনগত মিল রয়েছে। এই কারণে গুটি বসন্তের টিকা দিয়েই এটার প্রায় ৮৫% প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রথমে ১ টা ডোজ এবং এর ৪ সপ্তাহ পরে আর ১ টা ডোজ নিতে হয়। এছাড়াও এই রোগ থেকে বেঁচে থাকতে হলে আপনাদেরকে জনসমাবেশ থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি কারোর এই রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাহলে তার বেশি কাছা কাছি থাকা যাবে না এবং ব্যক্তিগতভাবে তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
এমপক্স হলে করণীয়
- এম পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘর বন্দি করে রাখতে হবে ।
- তার ব্যবহিত জিনিসপত্র অন্যকেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
- মাক্স পরিধান করতে হবে ।
- ক্ষত স্থান গুলো ( ফোসকা গুলো ) ঢেকে রাখতে হবে ।
- ত্বক শুঁখনো রাখতে হবে সবসময় এবং ক্ষতস্থানে হাত দেয়া যাবে না, চুলকানো যাবে না।
- মুখগহ্বরে ক্ষত হলে গরম পানি দিয়ে গারগেল করতে হবে।
- বেকিং সোডা বা এপস্ন সল্ট মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।