বুকের মাঝে ব্যথা কেন হয়

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ অকালে  মৃত্যুর কোলে ঝরে পড়ে — আমরা প্রায়ই শুনতে পাই  কিন্তু আসলে এই কথাটা ।  কিন্তু এই হার্ট অ্যাটাক এর অনেক সময় দেখা যায় যে  তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করিয়ে নিলে এর থেকে মুক্তি অবশ্যই মিলে ।  কিন্তু সঠিক সময় মত হাসপাতালে যদি পৌঁছতে না পারেন আপনার তাহলে কিন্তু আপনাদের জন্য মৃত্যুর পরে কিন্তু ঢলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়  । হৃদ্‌রোগে  আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যুর হার কিন্তু শুধু আমাদের বাংলাদেশী নয় ;  সারা বিশ্বজুড়ে কিন্তু এর পরিমাণ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ।  আর বিশেষ করে   এশিয়া এর  যে দেশগুলো রয়েছে সেই  দেশগুলোতে  অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে । 



অনেক মানুষের রয়েছেন যারা এটাকে  অবহেলা করে থাকেন ,  এটাকে  বেশি গুরুত্ব দেয় না তারা । অ্যাসিডিটির সমস্যা মনে করে থাকেন কিংবা তারা অ্যান্টাসিড কিংবা  অন্য যেকোনো ধরনের ঔষধ খায়  আর   সময়ক্ষেপণ  করে থাকেন ।  আর তাদেরকে এটা না করে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট  শরণাপন্ন হওয়া দরকার । হাসপাতালে ভর্তি  না হলে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের   কয়েকটা দরকারি  চিকিৎসা  যেটা 12 ঘন্টার ভিতরে  একজন  শরীরে প্রয়োগ  করতেই হয় ,  সেটা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা । অথচ হার্ট  অ্যাটাক এর সাথে সাথে কিন্তু রোগীদের  বিশেষায়িত  কিছু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলে কিন্তু  জীবনরক্ষাকারী ‘প্রাইমারি এনিজওপ্লাস্টিও’  করা সম্ভব হয়ে থাকে ।  


কিভাবে আপনারা বুঝতে পারবেন যে   হার্ট অ্যাটাকের  ব্যাথা  ব্যথা? আসুন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জেনে নেই । হৃদ্‌যন্ত্রের  রক্তনালী যেকোনো কারণে কি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের শুরু হয়ে থাকে । এই সময়তে কিন্তু রোগীদের  বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে থাকেন  আর এই  ব্যথা  আপনাদের বা হাতে , গলা এর  নিচ এর  চোয়াল এর  দিকে এমনকি কিন্তু কখনো কখনো  ডান হাত এর   দিক এ  অনুভূত হতেই  পারে। আবার কোনো কোনো সময় কিন্তু ব্যথাটা পেটের  উপরি ভাগ এই  অনুভূত হয়ে থাকে , সাথে  বমি ও হওয়া শুরু করে দিতে  পারে। এই ধরন এর  ব্যথা হঠাৎ করেই কিন্তু  শুরু হয়ে যায় আর অল্প সময় এর  ভিতরেই তীব্র আকার ধারণ করে থাকে ।




কারও কারও পেট এ আবার  প্রচণ্ড পরিমাণে অ্যাসিডিটি তৈরি হয়ে থাকে ।  অনেক সময় দেখা যায় রোগীরা  এটাকে  অ্যাসিডিটি কিংবা  গ্যাস এর  সমস্যা মনে করে ভুল করে থাকেন । কারও কারও প্রচণ্ড  ঘাম হতে থাকে , শ্বাসকষ্টও  হওয়া শুরু করে দিতে পারে । কিছু কিছু রোগী আছে যারা পছন্দ বুকে ব্যথার সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন , কিছু বিশেষ  ক্ষেত্রে কিন্তু আসলে  যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তাদের হার্ট অ্যাটাক যদি হয় তাহলে তাদের  ব্যথা  অনুভব  নাও হতে পারে । হার্ট অ্যাটাক তারা প্রচুর পরিমাণে ঘাম আরে তাকেন আর ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকেন । 




বুকে ব্যথা অনেক ধরনের রোগের কিন্তু  উপসর্গ  হিসেবেও দেখা দেওয়া শুরু করে দিতে পারে  । হৃৎপিণ্ডের আবরণী, ফুসফুস  আর এর  আবরণী, খাদ্যনালি, শ্বাসনালি, পেনক্রিয়াস  আর তার সাথে সাথে  পিত্ত থলি এর  প্রদাহ আর মাংসপেশি আর  হাড়ের ব্যথার কারণে কিন্তু বুকে ব্যাথা শুরু  হয়ে যেতে পারে  । 


 কিন্তু আপনাদের কি মনে রাখা লাগবে যে , হঠাৎ  করে বুক এর  মাঝখানেতীব্র ব্যাথা শুরু হয়ে যায় আর এই ব্যথা শরীর এর  কোনোদিকে ছড়িয়ে পড়ে যায় আর সাথে সাথে  শ্বাসকষ্ট  আর  গেমে যেতে শুরু করলে আপনারা সাথে সাথেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে নিয়ে যাবেন।


হার্ট অ্যাটাক এর  ক্ষেত্রে  কিন্তু আসলে রোগীরা যে কাজ করুক না কেন সেই কাজটা বাদ দিয়ে তাদেরকে বসে পড়তে হবে একটা জায়গায় আর সম্ভব হলে শুয়ে পড়তে হবে তাদেরকে । ১ টি ‘এসপিরিন ৩০০ গ্রাম’ বড়ি আপনাদেরকে সেবন করা লাগবে।  আর তার সাথে সাথে আপনাদেরকে অ্যাসিডিটির ওষুধও  খাওয়া লাগতে পারে । 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন