পেয়ারা পাতার যত উপকারিতা জেনে নিন

পেয়ারা পাতার উপকারিতা

আপনার বাড়ির উঠোনে যদি একটি পেয়ারা গাছ থাকে তাহলে আপনার নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়া উচিত। বাড়ির উঠোনে রয়েছে পেয়ারার গাছ আর শরীরে বাসা বেঁধেছে নানাবিধ রোগ এটা তো একেবারে অন্যায়ের খাতায় পরে।যদি আপনার ঘরের উঠোনে বা কোথাও থেকে আপনি কিছু পেয়ারার পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে কখনই কোন কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না। কোটি টাকার  চেয়ে বেশি উপকারী এই পাতাটি। যদি কেউ এই পাতা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে অনেক  রোগকে সে গোড়া থেকেই নির্মূল করে ফেলতে পারবে। সেই সমস্ত রোগের খাতায় রয়েছে শরীরের ব্যথা।  সেটি যেকোনো কারণে যে কোন অঙ্গের যেকোনো ধরনের ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে মাড়ির ব্যথাও। কোলেস্টেরলের সমস্যা ,ডায়াবেটিসের সমস্যা, ত্বক ও চুলের সমস্যা, পেটের নানাবিধ সমস্যা ওজন বেড়ে যাওয়া সমস্যা ,পুরুষদের স্পারম কাউন্টের সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ,ক্যান্সার রোগ হওয়া, শরীরের ক্ষত সৃষ্টি হওয়া ,কোনো সংক্রমণ হওয়ার ,বার্ধক্য হওয়া ,সকল কিছু প্রতিরোধ করতে শুধুমাত্র একটি জাদুকরী পাতায় যথেষ্ট। কিন্তু শুধুমাত্র পেয়ারা পাতার উপকারিতা জানলে কি কাজে দেবে?জানতে হবে এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। 


পেয়ারা পাতার উপকারিতা,পেয়ারা পাতার যত উপকারিতা জেনে নিন,পেয়ারা পাতার কিছু বিষ্ময়কর উপকারিতা,পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা,পেয়ারা পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধী,পেয়ারা পাতার উপকারিতা,পেয়ারা পাতার গুনাগুন,পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য,পেয়ারা পাতার ব্যবহার,পেয়ারা পাতার ২০টি জাদুকরী উপকারিতা,পেয়ারা পাতার বিষ্ময়কর কিছু উপকারিতা,কফ ও ব্রঙ্কাইটিসে পেয়ার পাতার কার্যকারীতা,পেয়ারা পাতার ঔষধি গুনাগুন,পেয়ারা পাতার বিষ্ময়কর কিছু উপকারিতা,পেয়ারা পাতা
পেয়ারা পাতার উপকারিতা


পেটের রোগের জন্য পেয়ারা পাতা

আগেই বলেছি, পেয়ারাপাতা পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা নানা রকম রোগ যেমন: গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাকস্থলী ব্যথার একটি অন্যতম দাওয়াই। যারা খাবার খেলে গ্যাস এসিডিটির সমস্যা ভোগেন, পেটে ব্যথা হয়,পায়ু পথ দিয়ে গ্যাস আসে, বুক জ্বালাপোড়া করে, খাবার বুকের ওপরে উঠে থাকে বা বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করছেন যে খাবার ঠিকমতো হজম করতে পারছেন না ,কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিচ্ছে,পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিচ্ছে  তারা কিন্তু টানা সাতদিন সকাল বেলা খালি পেটে পেয়ারা পাতার চা পান করুন। এতে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কেবলমাত্র আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেবে না। বরঞ্চ এটি আপনার পেট কে সুস্থ হতে সাহায্য করবে। তাই পেটজনিত  অসুস্থতার সমস্যায় পড়লে পেয়ারা পাতা হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী।


এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে পেয়ারা পাতার চা প্রস্তুত করব?এই প্রশ্নটির উত্তর পেতে হলে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে । এখানেই লেখা ছেড়ে গেলে কিন্তু চলবে না কারণ পেয়ারা পাতার চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি আছে। সেই সঠিক পদ্ধতি অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। 


কোলেস্টেরল কমাতে পেয়ারা পাতা

পেয়ারা পাতার চা এত গুণাবলী বিশিষ্ট একটি পাতা  যা শরীরের কোলেস্টেরলের আধিপত্য গুলোকে নষ্ট করে দেয়। শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে আপনার হার্টের সমস্যা দেখা দেবে। যা থেকে শুরু হবে আরো অনেক রোগ। কোলেস্টেরল অতিরিক্ত হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক গুণে বেড়ে যায় তা  ডক্টররাই বলে থাকেন। অতিরিক্ত ঝুঁকি থেকে শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাকই নয়  হতে  পারে  স্ট্রোক  এবং অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস সমস্যা। কোলেস্টেরল দেহে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়।  যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দিতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে নিয়মিত কোন ব্যক্তি যদি 30 দিন পর্যন্ত পেয়ারা পাতার চা পান করতে পারে। তার কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । তো শরীর থেকে যদি খারাপ টক্সিন গুলো কে বের করে দিতে চান , যদি চান আপনার রগে জমে থাকা চর্বি গলে গলে বেরিয়ে যাক, হার্টের শিরা উপশিরা গুলো পরিষ্কার হোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি একেবারেই কমে যাক। তাহলে আপনি অবশ্যই টানা ৩০ দিন পর্যন্ত পেয়ারা পাতার চা সকাল বেলা খালি পেটে প্রস্তুত করে পান করবেন। এতে করে আপনার কোলেস্টেরল তো কমবেই সার্বিক শরীর পরিষ্কার হয়ে যাবে। 


ডায়াবেটিস কমাতে পেয়ারা পাতা

পেয়ারা পাতা চা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিতে অনন্য একটি উপাদান। পেয়ারা পাতার চা যদি কোন ডায়াবেটিসের রোগী সকাল বেলা এবং বিকেল বেলা খেতে পারেন। তার টাইপ টু ডায়াবেটিস কখনোই বারবেনা।  বরং তার ইনসুলিন গ্রহণের প্রয়োজন পড়বে না। ইনসুলিন গ্রহণে  ছাড়াই তার শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকবে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা যদি পেয়ারা পাতার চা পান করতে চান সে ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে। প্রথম প্রথম এই পাতার চা তৈরি করে পান করার সময় ইনসুলিন ও এই  চা দুটো একসাথে নিতে পারেন।  পাশাপাশি ডায়াবেটিস চেক করে রাখতে পারেন। তবে যদি দেখেন যে ডায়াবেটিস বেশি পরিমাণে কমে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আস্তে আস্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন। পেয়ারা পাতা থেকে তৈরি চা পান করলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি ডায়াবেটিসকে গোড়া থেকে  নির্মূল করার ইচ্ছা থাকে তাহলে পেয়ারা পাতার চায় হতে পারে আপনার বন্ধু। টাইট টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকদের অবশ্যই সকাল বিকেলে চা পান করতে হবে। পেয়ারা পাতার চা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ডায়াবেটিস দ্বারা শরীরকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে দেয় না।  সুতরাং  আপনি যদি এই সমস্যায়   পড়ে থাকেন । তবে দুধ দিয়ে তৈরি নরমাল চা পান না করে। তার পরিবর্তে পেয়ারা পাতার চা পান করার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস থাকে কন্ট্রোলে আনতে পারবেন। 

দাতের মাড়ির জন্য পেয়ারা পাতা

পেয়ারা পাতা  যে মাড়ির জন্য যে বেশ বিখ্যাত তা অনেকেরই জানা। পেয়ারা পাতা মুখে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো মনে করা হয় ।  মাড়িতে ব্যথা হলে আট-দশটি পেয়ারা পাতা কুচি করে কেটে নিয়ে এক মগ জল নিয়ে নিতে হবে।  তিন থেকে চারটি লবঙ্গ নিয়ে নিতে হবে সাথে দিতে হবে কিছুটা পরিমাণ নুন। এবারে জলটি  ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। জলে সম্পূর্ণ নির্যাস চলে আসলে জলটি  যখন হালকা পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে আসবে বা কুসুম গরম অবস্থায় থাকবে সে সময়  গার্গাল করতে হবে। এতে মাড়ির সমস্যা ,দাঁতের ব্যথা ,মুখের দুর্গন্ধ সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।  

ডায়রিয়ার জন্য পেয়ারা পাতা

ডায়রিয়ার এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। ডায়রিয়া এমন একটি সমস্যা  যা দেখতে সাধারণ মনে হলেও এর কারণে একজন মানুষ খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা প্রস্তুত করে খেতে পারলে ডায়রিয়া সমস্যা ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও আপনি যদি পেয়ারা পাতার  কাখ প্রস্তুত করে খেতে পারেন তাতে কিন্তু উপকার পাবেন। আট দশটি পেয়ারা পাতা বেটে পেস্ট করে এটিকে সরাসরি খেতে পারেন। অন্যথায় আবার পেয়ারা পাতা কুচি করে কেটে চালের আটার সাথে এটিকে বড়ার মতো করে ভেজে খেলে ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি পেটের ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয় যার ফলে ডায়রিয়ার কারণে আপনার যে সমস্যা হয় তা দূর হতেও সময় লাগে না। 

ওজন কমাতে পেয়ারা পাতা

আপনার যদি ওজনটা অনেক বেশি থাকে তাহলে পেয়ারা পাতা অবশ্যই ব্যবহার করুন। পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে খুব সাহায্যকারী একটি উপাদান।  পেয়ারা  পাতা খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়।  এই জুস আপনার ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনার হার্টের যত্ন নেয়। পেয়ারা পাতায়  অনেক বায়োঅ্যাক্টিভ  যৌগ আছে যা শরীরকে কার্বোহাইড্রেট শোষণে বাধা দিয়ে থাকে। যার ফলে দেখা যায় আপনার ওজন কমতে কিন্তু হতেও সময় লাগে না । শরীরে যখন কম পরিমানে কার্বোহাইডেট পৌঁছবে তখন আপনার শরীরে কম পরিমাণে ক্যালোরি পৌঁছাবে যা ওজন কমাতে খুবই বেশী সাহায্য করবে। 

স্পার্ম কাউন্ট উন্নতিতে পেয়ারা পাতা

আগেই বলেছি, স্পার্ম কাউন্ট উন্নত করতে পেয়ারা পাতা উপকারিতা। পেয়ারা পাতার সাহায্যে স্পার্ম কাউন্ট বাড়ানো যায়। এছাড়া  পেয়ারা পাতা  উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। অর্থাৎ  যে সমস্ত নারী ও পুরুষদের ইনফার্টিলিটি সমস্যা রয়েছে বা সন্তান না হওয়ার সমস্যা রয়েছে তা দূর করতে পেয়ারা পাতা উপকারী।গবেষণা বলছে,  পেয়ারা পাতায় উপস্থিত  এন্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রাণুর বিষাক্ততা দূর করে এবং শুক্রাণুর ওপর এর প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি পায় এবং নারীদের বন্ধ্যাত্ব সমস্যা দূর হয়।

ক্যান্সার নিরাময়ে পেয়ারা পাতা

ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রেও এ পাতা উপকার করতে পারে।পেয়ারা পাতার ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ১০০ গ্রাম পরিমাণ পেয়ারা পাতার কাখ প্রস্তুত করে খেতে পারলে পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যান্সারে এড়ানো যায়। এছাড়া পেয়ারা পাতা দিয়ে প্রস্তুত করা চা ক্যান্সার রোগীর শরীরে ডিএনএ এবং অন্যান্য কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।  

ব্রংকাইটিস এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে

পেয়ারা পাতার চা ব্রংকাইটিস এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে। ব্রংকাইটিসের সমস্যা জন্য  এ পাতা উপকারী। ব্রংকাইটিসের ফলে  শ্বাসনালীতে জ্বালাপোড়া এবং ফোলা ভাব হয়। সেক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা উপস্থিত অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো আপনাকে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ,অতিরিক্ত কাশির আক্রমণ ছত্রাকজনিত রোগের পাশাপাশি ব্রংকাইটিস থেকে রক্ষা দেয়। পেয়ারা পাতার চা পান করলে বারবার কাশি হয় না এবং ব্রংকাইটিস খুবই আরাম মেলে। শরীরে কোন হাড় বা  জেয়েন্টে ব্যথা থাকলে বা ফোলা ভাবে  সমস্যা থাকলে সকাল-বিকেল পেয়ারা পাতার চা প্রস্তুত করে খান। যেকোনো ব্যথা নিরাময় হতে  মোটেও সময় লাগবে না। যদি আপনার শরীরে কোন জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয় সেখানে পেয়ারা পাতা বেটে প্রলেপ লাগান।  পাশাপাশি এ পাতা দিয়ে ফোটানো জল দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধৌত করুন । দেখবেন খুব সহজে আক্রান্ত স্থান বা ক্ষত ভালো হয়ে যাচ্ছে। 

ব্রণের দূর করতে  ও চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা

ব্রণের চিকিৎসায়ও এ পাতা উপকারিতা । এ পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি। যা আপনার মুখের দাগ ও হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ব্লেন্ডারে ১০ থেকে ১২ টি পেয়ারা পাতা নিয়ে নিন। কয়েক  ফোঁটা জল দিয়ে পেস্ট প্রস্তুত করে নিন । সপ্তাহে তিন দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করবেন এবং ২০  থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন।  মুখে  যে কোনো কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও পেয়ারা পাতা আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । পেয়ারা পাতার কাখ মাথার মধ্যে লাগাতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা খুশকি সমস্যা দূর হয়ে যায়। 
পেয়ারা পাতা দিয়ে  ফোটানো জল দিয়ে আপনি যদি আপনার চুল দ্রুত করতে পারেন। চুলের নানাবিধ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।  সপ্তাহে তিন দিন এই কাজটি করতে হবে।
এছাড়া পেয়ারা পাতার বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। 


পেয়ারা পাতার চা কিভাবে প্রস্তুত করবেন? 

একবারে চা প্রস্তুত করার জন্য আট থেকে দশটি পরিচ্ছন্ন পেয়ারা পাতা নিয়ে নেবেন। যেন কোন রোগ বা  সাদাটে ভাব না থাকে। এরূপ পেয়ারা পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কুচি করে কেটে  আপনি দুই কাপ জলের মধ্যে দিয়ে দিন ।  এটিকে আস্তে আস্তে করে ফুটিয়ে  এক কাপ জলে নামিয়ে নিন। চাইলে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে খাঁটি মধু মিশ্রিত করতে পারেন। তবে অবশ্যই হালকা ঠান্ডা হওয়ার পরেই। কারণ, মধু গরম অবস্থায় দেয়া যাবে না। ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে কোন রূপ মধুও দেয়া যাবে না।  সেক্ষেত্রে কুসুম গরম অবস্থার সামান্য পরিমাণে লেবুর রস মিশ্রিত করে এই চাটি সকাল বেলা খালি পেটে পান করবেন। এভাবেই আবার বিকেল বেলাও করবেন। যদি রোগের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে।এই চা যখন পান করবেন তখন চেষ্টা করবেন টানা ২১ দিন পর্যন্ত কোনো  রোগকে উদ্দেশ্য করে খেয়ে যেতে। রোগ ভালো হয়ে গেলে পরবর্তী সপ্তাহ থেকে  দুই থেকে তিন দিন খেতে পারেন। কোন সাধারণ ব্যাক্তিও দুই থেকে তিন দিন এ চা পান করলেও  বিভিন্ন রোগগুলো তার কখনো হতে পারবে না। যেকোনো কিছু অতিরিক্ত গ্রহণ করতে যাবেন না। ডায়বেটিসের সমস্যা সময় পেয়ারা পাতার চা অতিরিক্ত পান করলে বা ইনসুলিনের সাথে এটিকে নিলে ডায়াবেটিস  হঠাৎ করে  অনেক বেশি  কমে যেতে পারে।এছাড়াও এটি রক্তচাপকেও  হঠাৎ করে অনেক বেশি কমিয়ে দিতে পারে। তাই নিম্ন রক্তচাপের রোগীরা এটিকে খাবেন না। গর্ভাবস্থায় পেয়ারা পাতার চা করা যাবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন